এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালত কর্তৃক চুড়ান্তভাবে কোন পূর্ববর্তী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হলে, পরবর্তীতে একই পক্ষের মধ্যে একই বিচার্য বিষয়ে কোন মোকদ্দমা দায়ের করা হলে আদালত পরবর্তী মামলার বিচার করবেন না।
পূর্ববর্তী মোকদ্দমা (Previous suit):
১১ ধারার ব্যাখ্যা অনুযায়ী পূর্ববর্তী মোকদ্দমা হিসাবে গণ্য হবে-
১. ‘পূর্ববর্তী মোকদ্দমা’ বলতে বোঝায় যার বিচার বর্তমান মোকদ্দমার আগেই হয়ে গেছে। তবে মোকদ্দমাটি পূর্বে দায়ের করা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবেনা।
২. এই ধারার উদ্দেশ্যে বিচার করার ক্ষমতা, রায়ের বিরুদ্ধে আপীল‘কে অন্তর্ভূক্ত করবে না।
৩. বিচার্য বিষয়টি পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় একপক্ষ কর্তৃক দাবীকৃত এবং অপর পক্ষ কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরেক্ষভাবে স্বীকৃত হতে হবে।
৪. পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় যে বিষয়টি ব্যবহার হতে পারতো বা হওয়া উচিত ছিলো, তা উক্ত মোকদ্দমার প্রত্যক্ষ ও মূল বিবেচ্য বিষয় বলে ধরে নিতে হবে।
৫. কোন প্রতিকার ডিক্রিতে সুষ্পষ্টভাবে মঞ্জুর না হলে, তা প্রত্যাখান করা হয়েছে ধরতে হবে।
৬. যখন একাধিক ব্যক্তি সরল সাধারণ অধিকার বা সকলের ব্যক্তিগত অধিকারে জন্য সরল বিশ্বাসে মোকদ্দমা দায়ের করে, তখন স¦ার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্ত লোক মোকদ্দমাকারীর সূত্রে স্বত্ব দাবী করছে বলে গণ্য হবে।
সংক্ষেপে এই ধারার শর্তসমূহ:
১. মোকদ্দমাটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি হতে হবে;
২. যে কোন একটি মোকদ্দমা আগে নিষ্পত্তি হতে হবে;
৩. মোকদ্দমাটি একই পক্ষের মধ্যে হতে হবে; এবং
৪. মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় প্রত্যক্ষ বা পরেক্ষভাবে একই হতে হবে।
বিঃদ্রঃ- দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা- ১২ অনুযায়ী, কার্যবিধি অনুসারে বাদী পুনারায় মামলা করতে বারিত হলে, দেওয়ানী কার্যবিধির বিধান প্রযোজ্য আদালতে একই বিষয় নিয়ে পুনারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে না।
বিভিন্ন আইনে পুনঃবিচার (Re-trial under different laws):
কোন মামলা বা মোকদ্দমা একবার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে গেলে একই বিষয় নিয়ে পুনারায় মামলা বা মোকদ্দমা করাকে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েকটি আইনের উদাহরণ দেওয়া হল যেমন;
১. দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ১১ ধারা (Res judicata);
২. ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪০৩ ধারা (Double jeopardy);
৩. সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ৪০ ধারা;
৪. বাংলাদেশ সংবিধান, ১৯৭২ এর ৩৫ অনুচ্ছেদ;
৫. জেনারেল ক্লজেজ এ্যাক্ট, ১৮৯৭ এর ২৬ ধারা ইত্যাদি।