আইনগত অযোগ্যতা বলতে কি বুঝ? একটি আইনগত অক্ষমতার পূর্বেই আর একটি অক্ষমতা শুরু হয় সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি কি তামাদি আইনের কোন সুবিধা ভোগ করতে পারে আরোচনা কর।

0

আইনগত যোগ্যতা:

১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ধারায় শিশু এবং অক্ষম ব্যক্তিদের অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে, সাধারণত অক্ষম ব্যক্তি  শিশুরা তাদের নিজ অধিকারের প্রকৃতি উপলব্ধি করে তা আদাযের জন্য আইনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয না। তাই অক্ষম নাবালক শিশুদের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন বিশেষ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। যার ফলে অক্ষম  শিশুরা আইনি সহায়তার জন্য  অক্ষমতা অথবা শিশুর সাবালকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত তামাদি সময় সীমা গণনা করা হয় না অর্থাৎ সক্ষম এবং সাবালক হওয়ার পর নিযম অনুযায়ী মামলা করতে পারবে। উহাতে আইনি বাধা নাই।
 

অতএব বলা যায়যে কোন ব্যক্তির কোন কার্যে আইনগত যোগ্যতার অভাবই আইনগত অক্ষমতা বলে আইনে গন্য করা হয়ে থাকে। এই তামাদি সময় শুধুমাত্র আইনগত অক্ষমতায় আক্রান্ত হওয়ার ফলেই কার্যকরী। এক্ষেত্রে নাবালকত্ব, পাগলত্ব এবং জড়বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিরাই আইনগত অক্ষম বলে বিবেচিত হবে।
একটি অক্ষমতা শেষ হবার পূর্বে আরেকটি অক্ষমতা শুরু হলে  ব্যক্তি তামাদি আইনের কিকি সুবিধা পাবে:
১৯০৮ সালের ধারার বিধান মতে অক্ষমতার জন্য যে সমস্ত সুবিধা পাবে তা নিম্নরুপ:
অত্র আইনের (উপধারায় বলা হযেছে যে যকন কোন ব্যক্তি ডিক্রী জারির বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য অধিকারী হয় এবং যে সময় থেকে তামাদির মেয়াদ গণনা করা হবে সেই সময়  ব্যক্তি নাবালক পাগল বা নির্বোধ থাকে তবে সেই ব্যক্তি আইনগত অক্ষমতা অবসান ঘটার পর অত্র আইনের ১ম তফসিলের তৃতীয় অনুচ্ছেদ বা ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৮ ধারার উল্লেখিত সময় বাদ দিয়ে মামলা করার অধিকারী।
অত্র আইনের (উপধারায় বলা হয়েছে যে যখন কোন ব্যক্তির একটি আইনগত অক্ষমতার অবসান   ঘটাবার পূর্বেই আর একটি আইনগত অক্ষমতা শুরু হয় তবে অনুরুপ ব্যক্তি উভয় আইনগত অক্ষমতার অবসান ঘটার পর তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে। ধারা (উপধারা তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করার সুযোগ থাকবে।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, নাবালক থাকা কালে মেহেদী একটি মামলা করার অধিকার লাভ করে। সে সাবালকত্ব হওয়ার পূবেই পাগল হয়ে যায়্ এই ক্ষেত্রে মেহেদীর নাবালকত্ব পাগল অবস্থায় অবসান এর তারিখ হতে তার তামাদির সময় গণনা করতে হবে।
(উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত আইনগত অক্ষমতা অব্যাহত থাকে সে ক্ষেত্রে তার আইনগত প্রতিনিধি উপরে উল্লেখিত একই সময়ের মধ্যে মামলা বা দরখাস্ত পেশ করতে পারবে।
(উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি  আইনগত অক্ষমতা থাকে সেক্ষেত্রে অত্র আইনে (এবং (উপধারা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য যে মামলা করার কারণ ঘটলে একমাত্র জীবিত ব্যক্তির অনুকূলেই তামাদি আইনের ধারায় বিধি বিধান মতে সময় বৃদ্ধি করা যায়্ কিন্তু যে ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব নাই সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি উপরোক্ত ধারা সুবিধা পাবে না। কিন্তু গর্ভস্থ শিশু তামাদি আইনের  ৬ও দারার সুবিধা পেতে পারে। (ডিএল আর ১৫২০
আইনগত অক্ষমতার দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি অক্ষমতার সময় তামাদির সময় সীমা নির্ধারনের ক্ষেত্রে অব্যাহতি পাবার অধিকারী কিন্তু তাই বলে এই ধারাটি সাবালকত্ব অর্জনের পূর্বে নাবালককে মামলা করার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অক্ষম ব্যক্তির সুবিধাগুলো অলোচনা করা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top