আইনজীবি:
যে বা যারা আইন নিয়ে চর্চা করে বা আইন পেশায় নিয়জিত তাদেরকে আইনজীবী বলা হয়। আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হল বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন পেশাজীবীদের বিভিন্ন ভাগ থাকলেও বাংলাদেশে এডভোকেট, কৌশলী, লয়্যার, ব্যরিস্টার, আইন পেশাজীবী, এ্যাটর্নী ইত্যাদি নাম নাম থাকলেও, সাধারণত সকলেই উকিল বা আইনজীবী নামে অভিহিত করে থাকেন।
বাংলাদেশের বার কাউন্সিল -১৯৭২ এর ২(ক) অনুচ্ছেদে আইনজীবীর সংজ্ঞা প্রদান করেছে। যিনি Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1072 এর অধীনে Bar Council– এর roll – এ আইনজীবী হিসাবে প্রবেশ করবে তাকেই আইনজীবী বলা হবে।
এই আদেশের ১৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী
একজন আইনজীবকে সমগ্র বাংলাদেশে আইন পেশা চর্চা করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।একজন আইনজীবী বাংলাদেশের যে কোন স্থানে আইনপেশা পরিচালনা করতে পারবেন।
তথ্য মতে বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন নিয়ে পড়া শুনা করছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। যাদের প্রায় সাবারই স্বপ্ন আইনজীবী হওয়া।
আইনজীবী হওয়ার জন্য দরকার
Enrolment of Advocate ship অর্থাৎ এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তিকরণ।আর তালিকা ভুক্তিকরণ এর জন্য দরকার কিছু শর্ত বা নিয়ম।
তালিকা ভুক্তিকরণের শর্ত সমুহ:
বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী ২ ভাগে
এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত করা হয়।
ক) অধস্তন আদালতে এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি
খ) সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অনুমতি।
অবশ্য আপীল বিভাগে কাজ করার জন্য আর একটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত করা হয়। তাদের কে বলা হয়
অবশ্য আপীল বিভাগে কাজ করার জন্য আর একটি ভাগে এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত করা হয়। তাদের কে বলা হয়
এ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড।
সাধারণ এ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকা ভুক্তিকরণ অনুচ্ছেদ ২৭ (১) অনুযায়ী প্রাথমিক শর্তাবলী:
১. বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;
২. ২১ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে; এবং
৩. নিচের যে কোন একটি যোগ্যতা অজর্ন করতে হবে;
ক. বাংলাদেশে সীমার মধ্যে অবস্থিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয় ডিগ্রী থাকতে হবে;
অথবা
খ. বার কাউন্সিল হতে স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয় স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে; অথবা
গ. ব্যারিষ্টার-এ্যাট- ল করতে হবে।
বার কাউন্সিলের সদস্যভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় করনীয়:
ক. এল.এল.বি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর appeared certificate দিয়ে বার কাউন্সিলে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
খ. `A’ ফরমের সাথে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ এ্যাডভোকেটের সাথে contract of pupillage স্বাক্ষর করে ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
গ. SSC, HSC এবং LLB সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
ঘ. ৪০০ টাকার রেজিস্টেশন ফি জমাদিতে হবে।
৩. বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ১ ঘন্টার MCQ পরীক্ষা দিতে হবে।
৪. যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদের কে আবার ৪ ঘন্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৫. তালিকা ভুক্তিকরণ কমিটি লিখিত পরীক্ষায়
উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিবেন। এবং তাদের এখানেও উত্তীর্ন হতে হবে।
৬. বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি করনের আগে
আবেদনকারীকে ৬মাসের (পরীক্ষা পরবর্তী) আইনগত প্রশিক্ষন প্রদান করে তার পরে সনদপত্র প্রদান করবে।
৭. উপরের সকল নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা যদি একজন আবেদনকারী সম্পন্ন করতে পারে তাহলে আইন চর্চার অনুমতি পাবে ।
সঠিক আইন চর্চার মাধ্যমে আইনের আসল উদ্দেশ্য সফল হউক।