জি আর মামলা ও সি আর মামলার গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি।

0
আমলযোগ্য অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা মোতাবেক জি আর মামলা দায়ের করা হয়।


পরবর্তীতে উক্ত জি আর মামলার তদন্তকারী অফিসার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ ধারা মোতাবেক তদন্ত সম্পন্ন করে যদি অভিযোগের সত্যতা না পান তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৯ ধারার বিধান মোতাবেক ১৭৩ ধারায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করবেন। আর যদি অপরাধের সত্যতা পান তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭০ ধারার বিধান মোতাবেক ১৭৩ ধারায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করবেন।

যে ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৬৯ ধারার বিধান মোতাবেক ১৭৩ ধারায় অপরাধের সত্যতা পায়নি বলে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন সে ক্ষেত্রে আমলী ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত আসামিদেরকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৯ ধারা মোতাবেক মুক্তি দিবেন। আর যদি তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৭০ ধারার বিধান মোতাবেক ১৭৩ ধারায় অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন সে ক্ষেত্রে আমলি ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারের জন্য প্রেরণ করবেন। তখন বিচারিক আদালত আসামীদেরকে চার্জ গঠনের পূর্বে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪১A এবং ২৬৫C ধারা মোতাবেক অব্যাহতি দিতে পারেন।

উল্লেখ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় পুলিশ রিপোর্ট এর কথা বলা হয়েছে, এখানে চূড়ান্ত রিপোর্ট বা চার্জশিটের কথা বলা হয়নি। চূড়ান্ত রিপোর্ট এবং চার্জশিটের কথা উল্লেখ আছে পিআরবি ২৭৫ এবং ২৭২ বিধিতে। যেহেতু চূড়ান্ত রিপোর্ট বা চার্জশিট শব্দটি ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ নাই, সেহেতু উল্লেখিত শব্দগুলো ১৭৩ ধারার পুলিশ রিপোর্টে ব্যবহার করা উচিত নয়। Ref 67 DLR 271,

উল্লেখ্য পুলিশ রিপোর্টে কাউকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ থাকলেও ওই পর্যায়ে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৯ ধারা মোতাবেক মুক্তি দেওয়া যাবে। পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করলেও ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদেরকে মুক্তি না দিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১)(B) ধারা মোতাবেক মামলাটি আমলে নিতে পারেন বা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(৩B) ধারা মোতাবেক অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠাতে পারেন।

সিআর মামলা বা নালিশি মামলার ক্ষেত্রে।
আমলী ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় ফরিয়াদির জবানবন্দি গ্রহণ করার পর ২০২ ধারা মোতাবেক পুলিশের নিকট উক্ত ঘটনা তদন্তের জন্যে পাঠালে তখন পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ২০২(২B) ধারা মোতাবেক ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আমলি আদালতে রিপোর্ট পেশ করলে তখন আমলি ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদেরকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০২(২B) ধারা মোতাবেক অব্যাহতি দিবেন।

ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন ঘটনাটি গুরুতর তখন নালিশি অভিযোগটি আমলে না নিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য নির্দেশ দিবেন। উল্লেখ্য আমলী আদালত যদি উক্ত অভিযোগটি একবার নালিশ হিসেবে গ্রহণ করেন তখন সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন না।
নোটঃ ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ সংক্রান্ত বিষয়াবলীর লিঙ্কঃ
ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার আলোচনা কর।
আমলঅযোগ্য অপরাধ Cognizable Offence কি ? আমলঅযোগ্য অপরাধের খবর থানায় আসলে পুলিশের Police করণীয় কি?
ঘুষ_সংক্রান্ত_আইনের_ব্যাখাঃ
গ্রেফতার হলে কী করবেন ? কিছু আইনি পরামর্শ, জেনে রাখুন
দেওয়ানী আদালত ও ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
জি আর মামলা ও সি আর মামলার গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি।
প্যারোলে মুক্তি বলতে কি বুঝায় ?
শোন এরেস্ট (Shown Arrest) কাকে বলে ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top