১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১২ ধারা
থেকে ৩০ ধারা পর্যন্ত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন সম্পর্কে আলোচনা করা
হইয়াছে। চুক্তিতে যে সকল কার্যসম্পাদনের কথা বলা রহিয়াছে, চুক্তি সম্পাদনকারী
ব্যক্তিগণ উক্ত চুক্তির কার্যগুলি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন হল সুনির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদন।
আইনের সাধারণ নীতি স্থাবর সম্পত্তি চুক্তি কাযসম্পাদন
বলবৎ যোগ্য, অস্থাবর সম্পত্তি চুক্তি কাযসম্পাদন যোগ্য নয়।
চুক্তি প্রবলের মুল ভিত্তি বৈধ্য চুক্তি। পক্ষান্তরে,
প্রতিদান ছাড়া চুক্তি সম্পাদন করা হলে তাহা হইবে অবৈধ্য চুক্তি। তাই উক্ত চুক্তি
সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ করা নাও যেতে পারে।
উল্লেখ্য
যে, চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন, চুক্তি কার্যকর, চুক্তি বলবৎ, চুক্তি প্রবল
শব্দগুলো একই অর্থ বহন করে।
সকল
ধরনের চুক্তি বা সর্বক্ষেত্রে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা
নাই।
চুক্তির ভঙ্গের কারনে ২ প্রকার
প্রতিকার পাওয়া যায় যথাঃ
ক) চুক্তির
সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন ধার ১২
খ) আর্থিক
ক্ষতিপুরণ ধারা ১৯
কোন চুক্তি সমুহ সুনিদিষ্টভাবে
বলবৎ বা চুক্তি প্রবল করা যেতে পারেঃ
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১২ ধারায় চুক্তি
সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ বা চুক্তি প্রবল সম্পর্কে আলোচনা করা হইয়াছে। পক্ষগণ যে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আদালত পক্ষগনকে তাদের
দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য অনুসারে সে কাজ সম্পাদনের আদেশ প্রদান করলে তাকে বলা যায়
চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন।
১৩ ধারায় চুক্তি আংশিক বিলুপ্তি
চুক্তি
সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ বা চুক্তি প্রবল আদালতের -বিবেচনামুলক ক্ষমতা ১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট
প্রতিকার আইনের ২২ ধারা।
কোর্ট
ফিঃ - এডভলেরম কোট ফি।
তামাদিঃ
- ১১৩ অনুচ্ছেদ ১ বছর।
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১২ ধারায়
অনুযায়ী ৪টি ক্ষেত্রে চুক্তি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ বা চুক্তি প্রবল করা যথাঃ
ক. যখন কোন সম্পত্তি কার্য বা কোন চুক্তি পুরোপুরি বা আংশিক কোন জিন্মায় বা ট্রাস্টীর অংশ
থাকে।
খ.
যখন কোন চুক্তির কার্য সম্পাদন না করলে যে
ক্ষতি হয় তা নির্নয় করার কোন মান্দন্ড না থাকে না ।
গ.
যখন চুক্তিভুক্ত কার্যটি সম্পাদন না করলে আর্থিক ক্ষতি পূরনের মাধমে পর্যাপ্ত
প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
ঘ.
যখন এরুপ সম্ভনা থাকে যে চুক্তিভুক্ত কার্যটি সম্পাদন না করার ফলে আর্থিক
ক্ষতিপুরন পাওয়া যাবে না।
চুক্তি
বলবৎ এর উপাদান ৩টি ক্ষেত্রঃ
ক)ট্রাষ্ট
খ)
আর্থিক ক্ষতিপুরণ
গ)বিষয়বস্তু
স্থাবর সম্পত্তি কি না।
উদাহারণঃ শিল্পাচার্যজয়নুল আবেদীনের দুষ্প্রাপ্য একটি চিত্র
কর্ম ৫ লক্ষ্য টাকা মুল্যে সহিদের নিকট বিক্রী করতে চুক্তি বদ্ধা হয়। পুরে
বিপ্লব ঐ মুল্যে চিত্র কর্ম টি বিক্রি করতে না চাইলে সহিদ নির্দিষ্ট
চুক্তির কার্য সম্পাদনে বিপ্লপকে আইঙ্গত বাধ্য করতে পারবেন।কারন এতে যে ক্ষতি হবে
তা নির্ণয় করার কোন মান্দন্ড নাই।
উদাহারণঃ
কোন চুক্তি সমুহ সুনিদিষ্টভাবে
বলবৎ বা চুক্তি প্রবল করা যাবে নাঃ
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২১ ধারায়
যে সকল চুক্তি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ করা যাবে না তাহার সম্পর্কে আলোচনা করা
হইয়াছে। পক্ষগণ যে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন
কিন্তু আদালত পক্ষগনকে তাদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য অনুসারে উক্ত কাজ সম্পাদনের আদেশ
প্রদান করবেন না।
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২১ ধারায়
চুক্তি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ না বা চুক্তি প্রবল না করা আদালতের বিবেচনামুলক ক্ষমতা।
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২১ ধারায় অনুযায়ী ৮টি ক্ষেত্রে উল্লেখ
করা আছে যথাঃ
ক। যে চুক্তির কার্যসম্পাদন না করা হলে, আর্থিক ক্ষতিপুরণ
যথেষ্ট হবে ।
খ। যে চুক্তির কার্যসম্পাদন সুক্ষ এবং পুঙ্খানুপুখ জটিল
বিবরনের সমুষ্টী বা ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও সংকলের উপর নির্ভর করে উক্ত চুক্তি বলবৎ
যোগ্য নয়।
গ। যে চুক্তির শর্তাবলী আদালত নিশ্চয়তার সাথে নির্নয় করতে
পারেনা উক্ত চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয়।
ঘ। যে সকল চুক্তি তার প্রকৃতিগত কারনেই বাতিল যোগ্য উক্ত
চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয়।
ঙ। কোন জিন্মাদারী ব্যক্তি যদি চুক্তির সীমা লংঘন করে, তাহার
ক্ষমতার বাহিরে কোন ব্যক্তির সহিত চুক্তি করে।
চ। যদি কোন কোম্পানির কর্মকর্তা তার নির্ধারিত ক্ষমতা বহির্ভুত
চুক্তি করে উক্ত চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয় উক্ত চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয়।
ছ। যে চুক্তির কার্য সম্পাদন করতে হলে কার্যা শুরু করার তারিখ
হতে ৩ বছরের বেশী সময় ধরে একাধারে কাজ করে যেতে হয় উক্ত চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয়।
জ। যে চুক্তির উল্লেখযোগ্য অংশ চুক্তির আগেই বিলুপ্ত হয়েছে
উক্ত চুক্তি বলবৎ যোগ্য নয়।
= চুক্তিতে আরবিটেশন ক্লজ থাকরে কোন
চুক্তি বলবৎ করা যাবে না।
উদাহরণঃ
ধারা ২১(ক) ঃ
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন (সংশধনী-২০০৪) ২১ক ধারা
যুক্ত করা হয়। উক্ত ধারা কার্যকর হয় ১/৭/২০০৫ইং হইতে।
২১ক ধারা – অনিবন্ধিত চুক্তি কার্যকরযোগ্য নয়
২১ক ধারার নিবন্ধন – বাধ্যতামুলক।