• প্রশ্নঃ- এস্টোপেল নীতি উত্তরাধিকারীদের উপর বাধ্য কি না?
উঃ- Bazlur Rahman vs Sadu Mia 45DLR 391 মামলায় বলা হয়, এটা উত্তরাধিকারীদের উপরও বাধ্যকর। বাদী তার বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পত্তির অধিকার দাবী করেছে। যদি বাদীর বাবা সম্পত্তিতে বিবাদীর ভাড়াটিয়া স্বত্ব গ্রহণ বা স্বীকার করে থাকে তাহলে বাদীর বাবা বিবাদীর উক্ত স্বত্ব চ্যালেঞ্জ করতে প্রতিবন্ধক নীতি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হত এবং বাদী নিজেও প্রতিবন্ধক নীতি দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হবে। কেননা, প্রতিবন্ধক নীতি উত্তরাধিকারীদেরও বাধ্য করে।
• প্রশ্নঃ- আদালতের সিদ্ধান্ত স্বকার্যজনিত বাধা হিসেবে কি গণ্য হয়?
উঃ- “গোলাম মোরশেদ বনাম ফরহাদ জাহান, 42 DLR 223” মামলায় আদালত বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক দরখাস্তকারীর রিট মামলায় প্রদত্ত সিদ্ধান্ত আপিলে বাতিল না হয়ে বহাল আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা উভয়পক্ষের উপর বাধ্যকর। নালিশি সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি মর্মে সরকারের দাবী দরখাস্তকারী অস্বীকার করা থেকে উক্ত সিদ্ধান্তের স্বকার্যজনিত বাধা দোষে বারীত বটে।
• প্রশ্নঃ- বিধিবদ্ধ আইনের বিধান ভঙ্গ করে কোন কাজ করা হলে আইনভঙ্গকারী কি আইনের বিধানের বিরুদ্ধে স্বকার্যজনিত বাধা প্রযোজ্য নয় বলে দাবি করতে পারে?
উঃ- “মাটিরা বেওয়া বনাম সুধীর চন্দ্র সাহা, 35 DLR 56” মামলায় আদলত সিদ্ধান্ত দেন যে, যেক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ আইনের বিরুদ্ধে স্বকার্যজনিত বাধা প্রয়োগ করা হলে বিধিবদ্ধ আইন যে জননীতির ভিত্তিতে প্রণীত হয়েছে তা ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ আইনের বিরুদ্ধে স্বকার্যজনিত বাধা প্রয়োগ করা যায় না। কিন্তু বর্তমান মামলায় স্বকার্যজনিত বাধা প্রয়োগ করা হলে জননীতি ব্যর্থ হওয়ার কোন প্রশ্ন নেই। সেজন্যে বাদি স্বেচ্ছায় আইন ভঙ্গ করে নালিশি জমি বন্দোবস্ত দেয়ায় সে ঐ আইনের সুযোগ গ্রহণ করে বন্দোবস্ত দেয়া আইনত বাতিল ও পণ্ড ছিল দাবি করতে পারে না। এক্ষেত্রে বাদির দাবী স্বকার্যজনিত বাধা দোষে বারিত