আইনে একটি প্রবাদ আছে,
ignorance of law is not an excuse. অর্থ্যাৎ আইন না জানা অজুহাত নয়।
এই কথাটির অর্থ হলো --কোন অপরাধী অপরাধ করে যদি বলেন আমি আইন জানতাম না, এই অজুহাতে তাকে শাস্তি প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তাই আইন জানা যেমন জরুরি, তেমনি কোন অধিকার লঙ্ঘিত হলে বা কোন অপরাধ সংঘঠিত হলে ঐ অপরাধের শাস্তি কি হবে তাও জানা অত্যন্ত জরুরী।।
দন্ডবিধি অনুসারে, কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী কে মৃত্যুদণ্ড ( Death sentence) দেওয়া যেতে পারে।
Death sentence (মৃত্যুদণ্ড)- নিম্নোক্ত ধারায় যদি কেউ দোষি সাব্যস্ত হয় তবে তার সাজা হলো মৃত্যু দন্ড আা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
১। বাংলাদেশেরর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া বা লিপ্ত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা বা সহায়তা করা ( ধারা-- ১২১ )
২। বিদ্রোহে (সৈনিকদের) সহায়তা করা এবং এর ফলে বিদ্রোহ সংঘঠিত হলে।
( ধারা ----১৩২) ।
৩। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার ফলে নির্দোষ ব্যাক্তি কে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলে, যিনি মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া যেতে পারে। ( ধারা-- ১৯৪) ।
৪। খুন ( ধারা- ৩০২)
৫। যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যাক্তি কতৃক খুন করিলে (ধারা--৩০৩)
৬। নাবলক উন্মাদ ব্যাক্তি কে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে এবং তার ফলে আত্মহত্যা করিলে। ( ধারা--৩০৫)
৭। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তি কতৃক যখম করে খুনের চেষ্টা করিলে।(ধারা--৩০৭) ।
৮। এসিড জাতীয় পদার্থ দারা মুখ, মাথা বা উভয় চোখে গুরুতর যখম করিলে।(ধারা---৩২৬ ক)
৯। দশ বছরের নিচের কোন ব্যাক্তি কে খুন,গুরুতর আঘাত ইত্যাদি উদ্দেশ্য অপহরন বা বলপূর্বক অপহরন করলে( ধারা ---- ৩৬৪ ক)
১০। খুনসহ ডাকাতি করলে। ( ধারা--৩৯৬)
শুধু দন্ড বিধি আইন অনুসারে তাছাড়াও বিভিন্ন স্পেশাল আইনের বিভিন্ন ধারায় এরূপ শাস্তির বিধান আছে।