বালিঘড়ি sand clock বা hour clock বা sand glass নামে পরিচিত।বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে তৈরি করা এ বালি-ঘড়ি আসলে স্টপওয়াচের মত কাজ করে থাকে৷ যদিওবা এটি স্থান/পাত্র ভেদে সময়ের হিসাবের তারতম্য থাকে৷
মধ্যযুগে এ ঘড়ি বেশ জনপ্রিয় ছিল৷ কেননা এটি সূর্যের উপর নির্ভরশীল নয় যারফলে রাতের বেলাতেও ব্যবহার করা সেকালে ছিল সুবিধাজনক। তাছাড়া এটি তৈরি করতে ভারি কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন নেই; পরিবহনে তেমন ঝামেলা নেই৷
গুগলের দেয়া তথ্যানুযায়ী এঘড়িটি লুইট্রাপ কর্তৃক অষ্টম শতাব্দীতে ইউরোপে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল৷
যদিওবা কোথাও বলা হচ্ছে এটি প্রাচীন মিশরে আবিষ্কার হয়েছিল সম্ভবত আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রায় 300 BC তে।
এবার বালি-ঘড়ি তৈরি করার পদ্ধতি:
১. কাচের তৈরি এ ঘড়ির দুপাশে দুটো সমান উচ্চতার চেম্বার বা টিউব ব্যবহার করা হয় যার মাঝামাঝি অংশটিতে একটি সরু ছিদ্র থাকে৷
২. চেম্বারের ভেতর দানাদার মিহি বালি বা লবণ বা মার্বেলের গুড়ো ভরে সিল করে দেওয়া হয়৷ সৌন্দর্য বর্ধনে কাঠের তৈরি কাঠামোর মধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়।
৩. চেম্বারদুটি সমাকৃতির ও একই উচ্চতার হতে হয়৷ কেননা বালিগুলো স্তুপাকারে ছিদ্রের পাশে নিচের দিকে যেপরিমাণ চাপে পড়ছিল তা উল্টে দিলে ঠিক যেন একই পরিমাণ চাপ নিয়ে নিচের দিকে পড়ে৷ এতে সময়ের ব্যবধান তুলনামূলক কম হয়৷ যতটা সম্ভব সঠিক সময়ের হিসাব পাওয়া যাবে৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে বালি গুলো পড়ার সময় অনেকটা ঘুরে ঘুরে পড়তে থাকে।
বালি-ঘড়ির সাথে সময়ের সম্পর্ক:
1. বালি-ঘড়ির সাথে সময় পরিমাপের সুসম্পর্ক রাখতে হলে কিছু কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।
2. বালির গুণগত মান ও ধরণ এবং অবশ্যই তা শুকনো হতে হবে
3. বালি প্রবাহের হার প্রায়ই একই হতে হবে
4. কাচের চেম্বারে ভালোভাবে সীল দিতে হয় যাতে করে বাইরের আদ্রতা যেন কোন ভাবেই চেম্বারের অংশটুকুকে প্রভাবিত করতে না পারে।
5. দু চেম্বারের মাঝে অবস্থিত ছিদ্রের ব্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ।