লেখক: Maruf Hossen Jewel
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ বিভিন্ন ধরনের চাকরিতে কর্মরত আছেন। এদের ভিতর কেউ আছেন সরকারি চাকরিতে আবার কেউ আছেন বেসরকারী চাকরীতে। চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় অনেকেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হিংসার বশীভূত হয়ে চাকরি থেকে বহিষ্কার কিংবা অপসারণ হন। কোন ব্যক্তি কে চাকরি থেকে অপসারণ করতে হলে অনেক নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয়।কতৃপক্ষ যদি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অপসারণ কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করে তাহলে আদালতের মাধ্যমে চাকরিজীবীর প্রতিকার রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের করণীয়:
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি সরকারি কর্মচারী হন তাহলে তিনি প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ কে চ্যালেঞ্জ করবেন। প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত প্রকার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করতে পারবেন।প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে দেয়া হয়েছে কিনা সেটাও আমলে নিতে পারবেন যেমনঃ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দেন তাহলে তিনি যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসরণ করেননি বলে গণ্য হবে।প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে যদি তিনি প্রতিকার লাভে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে যেতে পারবেন।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের করণীয়:
বেসরকারি চাকরি থেকে হরহামেশাই কোনো কারণ ছাড়াই বা সামান্য কোনো কারণেই প্রচুর চাকরিজীবী চাকরি হারান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যদি কোন ব্যক্তি চাকরি হারান তাহলে তিনি শ্রম আদালতে যেতে পারে। শ্রম আদালতে যাওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কে অবশ্যই কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নন ম্যানেজারিয়াল পদবী থাকতে হবে। ম্যানেজারিয়াল কিম্বা policy-making এর সাথে জড়িত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা শ্রম আদালতে যেতে পারবেন না। তাদের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট করতে পারবেন।
চাকরিজীবীদের জন্য আশার কথা এই যে, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যখনই তাদেরকে কোন ধরনের অপসারণ কিংবা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন কোথাও না কোথাও নিয়ম-নীতি লংঘন করে আদেশ দেন যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন।
আরো পড়ুন:
নোট: ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না
আমার সাইটঃ MHJ & Associates
নোট: আমাদের ফেসবুক Lawyer's Club Rajshahi পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।