লেখক: Maruf Hossen Jewel
TIN টিআইএন থাকার প্রথম সুবিধা হচ্ছে, আপনি ট্যাক্স প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধিত হবেন। এরপর আপনার আয়ের সীমায় কর দেবেন, যে টাকা দিয়ে সরকার দেশ চালাবে। অনেক আগে যখন আয়কর বা মূল্য সংযোজন করের মতো বিষয়গুলো ছিল না। সরকার জমি থেকে খাজনা আদায় করত, তাই দিয়ে দেশের রাস্তা তৈরি, স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদি সেবা চলত। কিন্তু এখন মানুষের আয়ের বৈচিত্র্যের কারণে সরকারকে আয়করের মাধ্যমে দেশ চালানোর অর্থ সংগ্রহ করতে হয়।
TIN টিআইএন নম্বর সংগ্রহের মাধ্যমে আপনি গর্বিত করদাতা হবেন। এ ছাড়া টিআইএন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার থাকলে ব্যাংক আপনার গচ্ছিত অর্থ থেকে ১০ শতাংশ কর কাটবে, যদি না থাকে তবে কাটা যাবে ১৫ শতাংশ। ধরুন, এর মধ্যে আপনি কোথাও থেকে কোনো উপহার বা পুরস্কারের অর্থ পেলেন, যা ব্যাংকের মাধ্যমে আপনাকে দেওয়া হলো, সে ক্ষেত্রেও টিআইএনধারীরা ১০ শতাংশ কর কেটে অর্থ হাতে পাবেন, আর যাঁদের টিআইএন নেই, তাঁদের কাটা হবে ১৫ শতাংশ।
এমনিতে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন প্রয়োজন হয় না; তবে আপনি যদি ব্যাংকঋণ নেন, তবে টিআইএন থাকতেই হবে। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবী বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুবিধা ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে, যার কোনোটাই টিআইএন ছাড়া পাওয়া সম্ভব না।
TIN টিআইএন কী কাজে লাগে
১. ব্যবসা শুরু করতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে
২. গাড়ির মালিক হতে
৩. সিটি করপোরেশনের অঞ্চলে থাকা কোনো জমি, ফ্ল্যাট বা ভবন রেজিস্ট্রেশন করতে
৪. ক্রেডিট কার্ড পেতে
৫. কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে
৬. নিজের কোম্পানি নিবন্ধন করতে
৭. কোনো পণ্য আমদানির লাইসেন্স নিতে
৮. মুক্ত পেশাজীবী যেমন হিসাবরক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের পেশার চর্চা করতে
৯. নির্বাচনে প্রার্থী হতে
১০. ব্যবসায়িক সমিতি বা কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হতে
১১. সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার দরপত্রে অংশ নিতে এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে গাড়ি দিতে।
TIN,TAX,VAT সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং সেবা পেতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
আরো পড়ুন:
নোট: ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না
আমার সাইটঃ MHJ & Associates
নোট: আমাদের ফেসবুক Lawyer's Club Rajshahi পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।