যে সকল মোকদ্দমায় তামাদি মওকুফের জন্য আবেদন করা যায়ঃ
তামাদি আইন-১৯০৮ এর ৫ ধারা কোনো দেওয়ানী মূল মোকদ্দমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এটি শুধুমাত্র আপিল, রিভিউ, রিভিশন বা বিবিধ দরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। এর কারণ অধিকাংশ মোকদ্দমার তামাদি মেয়াদকাল ৩ বছর হতে ১২ বছরের মধ্যে পক্ষান্তরে আপিল, রিভিউ, রিভিশন বা বিবিধ দরখাস্ত দাখিলের তামাদি সময়সীমা সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত। এই কারণে আপিল, রিভিউ, রিভিশন বা বিবিধ দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে উপরোক্ত তামাদি আইন-১৯০৮ এর ৫ ধারার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে তামাদি মওকুফের সুবিধা পেতে হলে আপিলকারী বা দরখাস্তকারীকে অবশ্যই আদালতকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপিল বা দরখাস্তটি দাখিল না করার ‘যথেষ্ট কারণ’ ছিল, তাহলে আদালত তামাদি বা বিলম্ব মওকুফ করতে পারে। তাছাড়া তামাদির সময়সীমা বৃদ্ধির বা তামাদি মওকুফের জন্য সকল ক্ষেত্রে দরখাস্ত করা যায় না। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে তামাদি আইন-১৯০৮ এর ৫ ধারায় তামাদি সীমা বৃদ্ধি বা বিলম্ব মওকুফের জন্য দরখাস্ত করা যায়; যথাঃ-
১) আপিল মামলায়; বা
২) আপিল করার অনুমতি প্রার্থনার দরখাস্ত;
৩) রায় পুনঃবিবেচনা বা রিভিউ দরখাস্ত ; বা
৪) রিভিশন দরখাস্ত; বা
৫) অন্যকোন আইনে দরখাস্ত যেখানে তামাদি আইন-১৯০৮ এর ৫ ধারা প্রযোজ্য করা হয়েছে।
উদাহরণঃ
১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি অনুসারে জেলা জজের আদালতে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে হবে যে ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে তার তারিখ হতে। কিন্তু উপযুক্ত কারণে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করতে পারলে এবং আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে এই ধারায় আপিল দায়েরের সময় বিলম্ব মওকুফ করার জন্য আবেদনকারী আবেদন করতে পারে।
তামাদি আইন-১৯০৮ এর বিষয়ে
আরও
পড়তে
ক্লিক
করুন
–