তামাদি আইনে প্রতারণার ফলাফল:

0

তামাদির ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলাফল:

কোনো জিনিস মিথ্যে বা তার অস্তিত্ব নেই জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে ওই জিনিসের অস্তিত্ব সঠিক - বিশ্বাস স্থাপনে কোনো কিছু করাকে সাধারণত 'প্রতারণাবলা যায়
সক্রিয় উদ্যেগে সত্য গোপন করে মিথ্যা বর্ণনাকারীর মাধ্যমে কৌশলের আশ্রয়ে কোন ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম প্রতারণা
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৫ ধারা অনুসারে বিক্রেতা তার বিক্রীত বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ক্রটি ক্রেতার কাছে প্রকাশ না করলে এক্ষেত্রে বিক্রেতা প্রতারণা করেছেন বলে গণ্য হবেন

তামাদি আইন-১৯০৮ এর ১৮ ধারায় প্রতারণার ফলাফল সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, 'যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করবার অধিকারী হয়কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে তাকে সেই অধিকারের বিষয় অথবা যে স্বত্বের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠিতসে বিষয় জানতে দেয়া হয় নাই অথবা যে ক্ষেত্রে ওই অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য যে দলিল প্রয়োজনীয়তা প্রতারণা করে তার কাছ থেকে গোপন রাখা হয়েছেসেই সকল ক্ষেত্রে
 
ক) প্রতারণার বিরুদ্ধে দোষী ব্যক্তির বা তার সহযোগীর বিরুদ্ধেঅথবা 
যে ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময়ে ভিন্ন অন্য প্রকারে ওই দোষী ব্যক্তির মাধ্যমে স্বত্ব দাবি করেতার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি সর্বপ্রথম যে দিন প্রতারণার কথা জানতে পারেসেদিন থেকে অথবা দলিল গোপন করা হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেদিন দলিলটি উপস্থাপন করতে সমর্থ হয় বা অপরপক্ষকে তা উপস্থাপন করার জন্য বাধ্য করতে পারেসেদিন থেকে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হবে'

২৩ ডিএলআর-এর 'নিম ফিন্যান্স লিমিটেড বনাম বশির আহমেদ রফিক'
মামলার  সিদ্ধান্ত অনুসারেতামাদি আইনের ১৮ ধারার সুবিধে পেতে হলে প্রতারণার কথা প্লিডিংয়ে উল্লেখ করতে হবে
 ধারার সাধারণ নীতি অনুসরনে  নং তফসিলের ৯২ নং অনেুচ্ছেদে আছে যদি কারও বিরুদ্ধে গোপনে কোন জাল দলিল সৃষ্টি করত তা রেজিষ্ট্রি করে রাখা হয়তবে বাদীর এই গোপন দলিলের বিষয় জানার পর হতে তার বিরুদ্ধে তামাদিকাল গণনা শুরু হবে এবং এই গোপন জাল দলিলের বিষয় জানার তারিখ হতে তিন বৎসরের মধ্যে তার মামলা করা চলবে অনুরুপভাবে কাউকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে গোপনে তার বিরুদ্ধে কোন ডিক্রি হাসিল করে রাখলেযেইদিন বাদী সবপ্রথম এরকম গোপন ডিক্রির বিষয় জানতে পারবে সেইদিন হতে এই প্রকার ডিক্রি রদের মামলা করা যাবে
সময়সীমা কারণে যাতে কেহ প্রবঞ্চনা দ্বারা তার ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত বা প্রতারিত না হয় সেইজন্য প্রতারিত ব্যক্তি সুবিধার্থে তামাদি আ্ইনের এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে 

প্রতারণা  প্রমান করতে পারলে বাদী এই ধারার সুযোগ দাবী করতে পারবে অন্যথায় নয়।
 প্রতারণা প্রমানের ভার সর্বদায় বাদী উপর থাকবে
দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায় প্রতারণার সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে এবং ৪১৭ থেকে ৪২৪ ধারায় বিভিন্নভাবে প্রতারণার শাস্তি সম্পর্কে বিধান বর্ণিত হয়েছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top