- নামজারী কি :
- নামজারীর বিভিন্ন পদ্ধতি:
- হস্তান্তর দলিল এল টি নোটিশ মূলে নামজারী:
- আদালতের ডিক্রিমূলে নামজারী:
- উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির নামজারী:
- নামজারী বিষয়ক অধিকার:
- নামজারীর লংঘন:
- নামজারীর সংশ্লিষ্ট প্রতিকার:
- নামজারীর প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে হবে:
- নামজারীর কতদিনের মধ্যে:
- নামজারীর রিভিশন কতদিনের মধ্যে দায়ের করতে হবে?
- নামজারীর রিভিউ করার অধিকার আছে কি?
নামজারী কি :
নামজারীর বিভিন্ন পদ্ধতি |
নামজারীর বিভিন্ন পদ্ধতি:
- ১। হস্তান্তর দলিল এল টি নোটিশ মূলে নামজারী
- ২।সার্টিফিকেট মূলে নামজারী
- ৩। এল এ মোকদ্দমার ভিত্তিতে নামজারী
- ৪।আদালতের ডিক্রি মূলে নামজারী
- ৫।উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির নামজারী
- ৬।আবেদনের ভিত্তিতে নামজারী
হস্তান্তর দলিল এল টি নোটিশ মূলে নামজারী:
দলিল রেজিস্ট্রির পর হস্তান্তর নোটিস (এল.টি. নোটিস) সহকারী ভূমি কমিশনারের অফিসে পাঠাতে হবে। উক্ত নোটিস পাবার পর সহকারী ভূমি কমিশনার তার অফিসে একটি নামজারী কেস নথি খুলে তা তদন্তের জন্য তহসিল অফিসে পাঠাবেন। তহসীলদার সরেজমিনে ও রেকর্ড যাচাই করে বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭৮ এ প্রতিবেদন দিবেন।
আদালতের ডিক্রিমূলে নামজারী:
আদালতের ডিক্রি মূলে সরকারী খাস জমি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির নামজারী করা যায় এরূপ ডিক্রির (একতরফা/দোতরফা) এরপর উক্ত জমি পুনরায় রেজিস্ট্রির প্রয়োজন ন।(ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল এর ৩২১ অনুচ্ছেদ)তবে এরূপ ডিক্রি মূলে প্রাপ্ত খাস জমির নাম জারীর আবেদন পাওয়া গেলে একটি নামজারী মোকদ্দমা চালু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মতামতের জন্য তা কালেক্টরের (ডি.সি) এর নিকট প্রেরণ করতে হবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির নামজারী:
কোন হোল্ডিং এর মালিকের মৃত্যুতে (যদি তিনি তার সম্পত্তি নিজ নামে আলাদা হোল্ডিং করে গিয়ে থাকেন) তার উত্তরাধিকারীগণ নিজেদের নাম ঐ হোল্ডিং ভূক্ত করার জন্য সহকারী ভূমি কমিশনারের নিকট দরখাস্ত করতে হবে এবং উক্ত দরখাস্তের সাথে সাকশেসন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গণের বরাবরে প্রেরিত ভূমি প্রশাসন বোর্ডের ১৮-৭-১৯৮৪ ইং তারিখের ২০-এ.এস-১৭/৮৪ (১৪০) নং স্মারকের ৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তকারীকে ম্যাজিষ্ট্রেট/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সংসদ সদস্যের মত জন প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত সাকশেসন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
উত্তরাধিকারী আবেদনকারী সাকশেসন সার্টিফিকেট সহ নামজারীর জন্য সহকারী ভূমি কমিশনারের নিকট দরখাস্ত দাখিল করলে ভূমি সহকারী কমিশনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে নামজারীর আদেশ দিবেন। এক্ষেত্রে নতুন কোন হোল্ডিং না খুলে মৃত ব্যক্তির নাম কর্তন করে, ফারায়েজ অনুযায়ী হিস্যা/জমির ভাগ বন্টন করে উত্তরাধিকারীদের নাম পূর্বের হোল্ডিং এর জায়গায় হোল্ডিংভুক্ত করলেই চলবে।
নামজারী বিষয়ক অধিকার:
- ১। নামজারীর মাধ্যমে নতুন মালিকানা তথা হোল্ডিং সৃষ্টি করার অধিকার।(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৪৩ ধারা )
- ২। নির্ধারিত কোর্ট ফি দিয়ে সহকারী ভূমি কমিশনারের নিকট নাম জারীর জন্য আবেদন করার অধিকার।(ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ১৯৯০)
- ৩। সংশোধিত খতিয়ান সংগ্রহের অধিকার (ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ১৯৯০)
- ৪। ষড়যন্ত্র করে কিংবা ভুলক্রমে অন্যের নামে নামজারী হয়ে থাকলে তা সংশোধনের অধিকার।(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৪৩ ধারা )
- ৫। রাজস্ব অফিসারের আদেশে অসন্তুষ্ট হলে তার বিরুদ্ধে জেলা জজ কিংবা অতিরিক্ত জেলা জজ (রাজস্ব)-এর নিকট মামলা করার অধিকার। (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট ১৪৭ ধারা)
- ৬। পীলের জন্য সময় পাবার অধিকার। (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট ১৪৮ ধারা)
- ৭। রিভিশনের অধিকার (যদি আপীল করা না হয়ে থাকে) (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট ১৪৭ ধারা)
- ৮।রিভিউ পুর্নবিবেচনার অধিকার (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৪৯ ধারা।)
- ১০।জমির ক্রেতা যদি সমবায় সমিতি বা হাউজিং কোম্পানী হয় তাহলে নামজারীর অধিকার। (১৯৯০ সালের ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়ালের ৩২৭,৩২৮ অনুচ্ছেদ)
নামজারীর লংঘন:
- ১। নামজারীর মাধ্যমে জমির মালিকানা সৃষ্টি করতে না দেওয়া।
- ২। সংশোধিত খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করতে চাইলে তা প্রদান না করা।
- ৩ ।নামজারীর সংশোধনের জন্য সময় না দেওয়া।
- ৪। আপিলের জন্য সময় ও সুযোগ না দেওয়া।
- ৫। রিভিশনের জন্য সময় ও সুযোগ না দেওয়া।
- ৬। রিভিউ এর জন্য সময় ও সুযোগ না দেওয়া।
নামজারীর সংশ্লিষ্ট প্রতিকার:
- ১। আপিল
- ২। রিভিশন
- ৩। রিভিউ
নামজারীর প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে হবে:
- ১। থানা সেটেল্টমেন্ট অফিসে যেতে হবে।
- ২। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে নামজারীর জন্য লিখিত দরখাস্ত দাখিল করতে হবে।
- ৩। বড় এবং জটিল নামজারীর ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগ করলে ভালো হয়।
আপিলের সুযোগ আছে কি?
-আছে।নামজারীর বিষয়ে কোন ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হলে জেলা প্রশাসকের নিকট আপিল করা যাবে। (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট ১৪৮ ধারা।
নামজারীর কতদিনের মধ্যে:
- ১। আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে।
- ২। ডি.সি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরূদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে।
- ৩। বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরূদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে হবে।
রিভিশনের সুযোগ আছে কি?
-আছে । (যদি আপিল করা না হয়) অসন্তুষ্ট ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে অথবা জেলা প্রশাসক নিজে উক্ত আদেশটি পূর্ননীরিক্ষণ করতে পারবেন। (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৪৯ ধারা)
নামজারীর রিভিশন
কতদিনের মধ্যে দায়ের করতে হবে?
- ১। প্রদত্ত আদেশের তারিখ হতে ১ (এক) মাসের মধ্যে।
- ২। প্রদত্ত আদেশের তারিখ হতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট রিভিশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
- ৩। প্রদত্ত আদেশের তারিখ হতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ভুমি প্রশাসন বোর্ড নিজের উদ্যোগে অথবা আবেদনের ভিত্তিতে।
নামজারীর রিভিউ করার অধিকার আছে কি?
-‘আছে।’ (যদি আপিল বা রিভিশন করা না হয়) (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট ১৫০ ধারা।
কতদিনের মধ্যে রিভিউ করতে হবে:
১। পূর্ববর্তী আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ এর জন্য আবেদন করতে হবে।